নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের সাবেক ব্যক্তিগত সহকারী ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা তৌফিক হোসেন এছাহাকের (৪২) মৃত্যু হয়েছে। জ্বর ও শ্বাসকষ্টে রোববার (৭ জুন ) সকালে রাজধানীর হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। তৌফিক হোসেন এছাহাকের বাড়ি বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার উলানিয়া এলাকায়। তার বাবা মৃত মোজাম্মেল হক সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি চাকরির সুবাদে পরিবার নিয়ে খুলনায় বসবাস করতেন। এ কারণে তৌফিক হোসেন এছাহাকের জীবনের বেশিরভাগ সময় কেটেছে খুলনার খালিশপুরে। তৌফিক হোসেন এছাহাক ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের জিএস ছিলেন। বর্তমানে তিনি ঢাকায় বসবাস করতেন। পাঁচ মাস আগে তিনি বিয়ে করেছেন বলে তার স্বজনরা জানিয়েছেন।
তৌফিক হোসেন এছাহাকের ছোট ভাই রফিক খান বলেন, গণপরিবহন বন্ধের আগে ঢাকা থেকে মেহেন্দিগঞ্জে আসেন ইছাহাক। এরপর গাড়ি ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় তাকে মেহেন্দিগঞ্জে অবস্থান করতে হয়। ১০-১২ দিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন তিনি। এর সঙ্গে শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। অবস্থার অবনতি হলে গত বুধবার মেহেন্দিগঞ্জ থেকে হেলিকপ্টারে ঢাকার হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসকরা জানান এছাহাক টাইফয়েড ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। পাশাপাশি করোনা সন্দেহে গত বৃহস্পতিবার তার নমুনা নেয়া হয়েছিল। দীর্ঘদিন থেকে লিভারজনিত রোগে ভুগছিলেন তিনি।
রফিক খান আরও বলেন, রোববার সকাল ১০টার দিকে করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট দেয়ার কথা ছিল তার। এর আগেই সকালে হাসপাতালে তার মৃত্যু হলো। মৃত্যুর কারণে রিপোর্ট নেয়া হয়নি। এর আগেই তার মরদেহ নিয়ে মেহেন্দিগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা হই আমরা। মরদেহ নিয়ে পৌঁছানোর পর রাত ১০টার দিকে মেহেন্দিগঞ্জের উলানিয়া গ্রামের বাড়িতে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে। বরিশাল-৪ আসনের সংসদ সদস্য পঙ্কজ নাথ বলেন, তৌফিক হোসেন এছাহাক দীর্ঘদিন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ছাত্রলীগ নেতা হিসেবে খুলনায় তার সুনাম ছিল। তার হঠাৎ মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। বিভিন্ন কাজের জন্য আমাকে ঢাকায় অবস্থান করতে হচ্ছে। তবে তৌফিক হোসেন এছাহাকের দাফনকাজে সহায়তার জন্য উপজেলা প্রশাসন, থানা পুলিশ ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের অনুরোধ করা হয়েছে।
Leave a Reply